1. [email protected] : শেয়ার সংবাদ প্রতিবেদক : শেয়ার সংবাদ প্রতিবেদক
  2. [email protected] : শেয়ারসংবাদ.কম : শেয়ারসংবাদ.কম
  3. [email protected] : Zahir Islam : Zahir Islam
  4. [email protected] : muzahid : muzahid
  5. [email protected] : nayan : nayan
  6. [email protected] : khadija : khadija khadija
শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৮:০৩ অপরাহ্ন

মার্জিন ঋণের প্রভিশন সুবিধার মেয়াদ বাড়লো ডিএসই

  • আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

প্রধান শেয়াবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) শেয়ারবাজারের উন্নয়নের স্বার্থে মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজগুলোকে মার্জিন ঋণের অনাদায়ী ক্ষতির বিপরীতে প্রভিশন সংরক্ষণে সময়সীমা বাড়িয়েছে। আগামী ২০২৫ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজগুলোর এই সুবিধা অব্যাহত থাকবে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মনিটরিং অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স বিভাগের ইনচার্জ মো. বজলুর রহমান সাক্ষরিত এক নির্দেশনা ডিএসইর তালিকাভুক্ত সকল ট্রেকহোল্ডারদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের (সিইও) কাছে পাঠানো হয়েছে।

বজলুর রহমান সাক্ষরিত এক নির্দেশনায় বলা হয়, গত ২৮ মার্চ মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজগুলোকে মার্জিন ঋণের প্রভিশন সংরক্ষণে সময় বাড়িয়ে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি যে নির্দেশনা পাঠিয়েছে তা গ্রহণ করেছে ডিএসই। তাতে সম্মতি দিয়ে সকল সকল ট্রেক হোল্ডার কোম্পানির সিইও বরাবর পাঠানো হলো।

এর আগে, গত ২৮ মার্চ মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজগুলোকে মার্জিন ঋণের প্রভিশন সংরক্ষণে সময় বাড়িয়ে নির্দেশনা জারি করে।

এতে বলা হয়, মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজের নিজস্ব ও গ্রাহকের পোর্টফোলিওতে পুনঃমূল্যায়নজনিত অনাদায়ী ক্ষতির বিপরীতে যারা প্রভিশন সংরক্ষণ করতে পারেনি, তাদের জন্য এ সময়সীমা ২০২৫ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হলো।

অনাদায়ী ক্ষতির বিপরীতে প্রভিশন রাখার সুযোগ প্রথমে দেয়া হয় ২০১৩ সালে। সে সময় বিএসইসি থেকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বলা হয়, মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো এখন পুনঃমূল্যায়নজনিত ক্ষতির ক্ষেত্রে নিয়মানুযায়ী ১০০ ভাগের পরিবর্তে ২০ শতাংশ হারে প্রভিশন রাখতে পারবে।

তবে তা ২০১২ সালের ৩১ ডিসেম্বর থেকে ২০১৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সমান ৫টি ত্রৈমাসিক অংশে রাখতে হবে।

জানা যায়, এই সুযোগ পরবর্তীতে আরও কয়েক ধাপে বাড়ানো হয়। সর্বপ্রথম এই সুযোগ বাড়ানো হয় ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এক বছরের জন্য। এরপর বাজার পরিস্থিতি উন্নতি না হওয়ায় এর মেয়াদ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৫ পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়। কিন্তু ২০১৫ সালে বাজার পরিস্থিতি আরও মন্দাভাব থাকায় মার্চেন্ট ব্যাংককারদের আবেদনের প্রেক্ষিতের প্রভিশন সংরক্ষণের মেয়াদ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত বাড়ায় বিএসইসি।

এরপর ২০১৭ সালে বাজার পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়। তবে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর পক্ষ থেকে দাবি করা হয় যে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে তা পূরণ করতে আরও সময়ের প্রয়োজন। এ জন্য প্রভিশন সংরক্ষণের মেয়াদ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত বাড়ানোর দাবি করা হয়।

বিএসইসি সেই দাবি মেনে নিয়ে এক বছর সময় বাড়ায়। তবে ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বরর আগেই আর এক দফা বাড়িয়ে প্রভিশন সংরক্ষণের সুযোগ ২০১৮ বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়।

এরপর আরও একদফা বাড়িয়ে ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর করা হয়। এরপর তা আরও দুই বছর বাড়িয়ে ২০২২ সাল পর্যন্ত করা হয়। ওই মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই আরও এক বছর বাড়িয়ে ২০২৩ সাল পর্যন্ত সুযোগ দেয়া হয়।

সর্বশেষ ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর এ সময়সীমা বাড়ানো হয়। এবার তা আরও বাড়িয়ে ২০২৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত উন্নীত করেছে বিএসইসি।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ