1. info.aniisur@gmail.com : শেয়ার সংবাদ প্রতিবেদক : শেয়ার সংবাদ প্রতিবেদক
  2. info.saiiful@gmail.com : শেয়ারসংবাদ.কম : শেয়ারসংবাদ.কম
  3. mirjoher12@gmail.com : Zahir Islam : Zahir Islam
  4. muzahid2022@gmail.com : muzahid : muzahid
  5. nayanbabuofficial@gmail.com : nayan : nayan
  6. nstkhadijakhatun412@gmail.com : khadija : khadija khadija
বুধবার, ০৭ মে ২০২৫, ০৪:১১ অপরাহ্ন

নাক ডাকা নিয়ে অবহেলা নয়

  • আপডেট সময় : শনিবার, ৬ এপ্রিল, ২০২৪

বিশ্বের সবচেয়ে সাধারণ ঘুমের ব্যাধি স্লিপ অ্যাপনিয়া। এ সমস্যায় ঘুমের মধ্যে শ্বাসপ্রশ্বাস ব্যাহত হতে পারে। বিভিন্ন ধরনের স্লিপ অ্যাপনিয়া আছে। তবে সবচেয়ে সাধারণ রূপ অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া। স্লিপ অ্যাপনিয়ায় নাক ডাকাই সবচেয়ে বড় উপসর্গ। তাই নাক ডাকাকে অবহেলা করার সুযোগ নেই।

যাঁরা নাক ডাকেন, তাঁরা সঠিকভাবে অক্সিজেন গ্রহণ করতে পারেন না, ফলে নাকে শব্দ হয়। শ্বাসপ্রশ্বাস ভারী হয়ে ওঠে ও মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহ কমে যায়।

লক্ষণ

  • দিনে অতিরিক্ত ঘুম বা ক্লান্তি
  • ঘুমের মধ্যে শ্বাসকষ্ট বা দম বন্ধ হয়ে যাওয়া
  • শুষ্ক মুখ নিয়ে জেগে ওঠা
  • গলাব্যথা নিয়ে জেগে ওঠা
  • সকালের দিকে মাথাব্যথা
  • দিনে মনোযোগ দিতে অসুবিধা
  • হতাশা বা বিরক্তি, মেজাজে পরিবর্তন
  • উচ্চ রক্তচাপ

এসব লক্ষণের অনেকগুলো সাময়িকভাবে অন্যান্য সাধারণ কারণেও হতে পারে। যেমন ফ্লু বা সাধারণ ঠান্ডা। তবে যখন এগুলো স্থায়ী হয়, তখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

যাদের ঝুঁকি বেশি

স্থূলতায় চর্বি শ্বাসপ্রশ্বাসের ধরনকে ব্যাহত করতে পারে এবং স্লিপ অ্যাপনিয়া হতে পারে। বয়সের সঙ্গে ঝুঁকি বাড়ে। সরু শ্বাসনালি, উচ্চ রক্তচাপ, দীর্ঘস্থায়ী সর্দি বা নাক বন্ধ, ধূমপান, ডায়াবেটিস, অ্যাডেনোকারসিনোমা, হাঁপানিতে স্লিপ অ্যাপনিয়ার প্রবণতা বেশি।

রোগনির্ণয়

অতিরিক্ত টিস্যু জমা বা কোনো অস্বাভাবিকতা বোঝার জন্য গলা, নাক ও মুখের পেছন দিকটা পরীক্ষা করতে হবে। রক্তচাপ মাপতে হবে। রোগের তীব্রতা ও অবস্থা নির্ধারণে ঘুমবিশেষজ্ঞ কিছু পরীক্ষাও করেন।

পলিসমনোগ্রাফি: এতে শ্বাসপ্রশ্বাসের ধরন, অঙ্গপ্রত্যঙ্গের নড়াচড়া ও রক্তে অক্সিজেনের মাত্রাসহ হৃৎপিণ্ড, ফুসফুস এবং মস্তিষ্কের কার্যকলাপ জানা যায়। পরীক্ষার সময় কারও কারও এয়ারওয়ে চিকিৎসা দেওয়া হতে পারে। অন্যান্য ঘুমের ব্যাধির বিভিন্ন চিকিৎসা প্রয়োজন হতে পারে।

হোম স্লিপ অ্যাপনিয়া পরীক্ষা: এটি পলিসমনোগ্রাফির হোম সংস্করণ এবং বায়ুপ্রবাহ, শ্বাসপ্রশ্বাসের ধরন ও রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা পরিমাপ করে। এটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গের নড়াচড়ার সঙ্গে নাক ডাকার মাত্রাও পরিমাপ করতে পারে। বাড়িতে এ পরীক্ষা করা যায়।

চিকিৎসা

  • যদি অবস্থা তীব্র না হয়, তবে প্রথমত লাইফস্টাইল পরিবর্তন যেমন ওজন কমানো ও ধূমপান পরিহার করা প্রাথমিক পদ‌ক্ষেপ। অবস্থা তীব্র হলে নির্দেশিত বিশেষ চিকিৎসা নিতে হবে।
  • ঘুমের সময় ডিভাইস ব্যবহার করতে বলা হয়। ওপরের চিকিৎসাগুলো কাজ না করলে অস্ত্রোপচারকে শেষ অবলম্বন হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ