1. [email protected] : শেয়ার সংবাদ প্রতিবেদক : শেয়ার সংবাদ প্রতিবেদক
  2. [email protected] : শেয়ারসংবাদ.কম : শেয়ারসংবাদ.কম
  3. [email protected] : Zahir Islam : Zahir Islam
  4. [email protected] : muzahid : muzahid
  5. [email protected] : nayan : nayan
  6. [email protected] : khadija : khadija khadija
শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৩:৫৮ অপরাহ্ন

শেয়ারবাজারের পতন ক্রমে বাড়ছে

  • আপডেট সময় : মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪

ক্রমে গভীর হচ্ছে শেয়ারবাজারের দরপতনের ক্ষত। অন্তত দুই সপ্তাহ ধরে প্রতিদিনই বিনিয়োগকারীরা আশা করছেন, এই বুঝি ঘুরে দাঁড়াল শেয়ারবাজার। দিনের শুরুতে বেশির ভাগ শেয়ারের দর ও সূচকের বৃদ্ধি এ আশা জাগিয়ে তোলে। তবে দিনের লেনদেন শেষ হচ্ছে ঠিক দরপতনেই। গত ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে এক মাসের বেশি সময় এ অবস্থা চলছে।

যেমন– গতকাল সকাল সাড়ে ৯টায় লেনদেন শুরু হয় অধিকাংশ শেয়ারের দরবৃদ্ধিতে, মাত্র ৭ মিনিটে ডিএসইএক্স সূচক ২৪ পয়েন্ট বেড়ে ৫৯৯২ পয়েন্ট ছাড়ায়। প্রথম ঘণ্টা শেষে সকাল সাড়ে ১০টায় ১৯৮ শেয়ারের দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৯০টি দর হারিয়ে কেনাবেচা হচ্ছিল। ডিএসইএক্স সূচকটি তখন ১৪ পয়েন্ট কমে ৫৯৮২ পয়েন্টে নামে। এভাবে লেনদেন সময় যত বেড়েছে ততই দর হারানো শেয়ার সংখ্যা ও সূচকের পতন বৃদ্ধি পায়। তিন ঘণ্টার লেনদেন শেষে সূচকটি আগের দিনের তুলনায় ৮৪ পয়েন্ট হারিয়ে ৫৮৮৪ পয়েন্টে নামে। তবে দিনের শুরুর সূচকের সর্বোচ্চ অবস্থান থেকে এ পতন ছিল ১০৭ পয়েন্ট।
এভাবে পতনের প্রকৃত কারণ কেউ বুঝতে পারছেন না। ফলে এ নিয়ে নানাজন নানা মত দিচ্ছেন, চলছে নানা গুঞ্জন। কেউ বলছেন গুজবের কথা। তবে গুজবটা কী, তা বলতে পারছেন না। কেউ বলছেন, শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের নেতৃত্বাধীন কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৬ মে শেষ হতে চলাও এ পতনের একটি কারণ। তবে এ নিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির শীর্ষ কর্মকর্তারাও কোনো কথা বলছেন না।
কয়েকটি শীর্ষ ব্রোকারেজ হাউস সূত্র সমকালকে জানিয়েছে, চলতি দরপতনের বড় কারণ দরপতনের মনস্তাত্ত্বিক ভীতি। এ ভীতি সৃষ্টি হয়েছে মূল্য সূচকের ক্রমাগত পতন থেকে। আর সূচকের পতন ত্বরান্বিত করছে বৃহৎ বাজার মূলধনি কোম্পানির শেয়ারের দরপতন। বড় শেয়ারগুলোর দরপতন হচ্ছে বিদেশিদের শেয়ার বিক্রির কারণে। সোজা হিসাবে, বিদেশিদের শেয়ার বিক্রি সূচক ও বাজারের পতন উস্কে দিচ্ছে।
এ সময় বিদেশি বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বিক্রির কারণ কী– এমন প্রশ্নে ব্রোকারেজ হাউস কর্মকর্তারা বলেন, ফ্লোর প্রাইসসহ নানা বিধিনিষেধের কারণে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা দুই বছরের বেশি সময় ধরে চাইলেও শেয়ার বিক্রি করতে পারছিলেন না। এখন ক্রেতা থাকায় শেয়ার বিক্রি করছেন।

কারণ যাই হোক, গতকাল সোমবার টানা সপ্তম দিনে দরপতন হয়েছে। ঢাকার শেয়ারবাজার ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৯০ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৩২৬টির বা ৮২ শতাংশের দরপতন হয়েছে। এর মধ্যে ৪ থেকে ৯ শতাংশ দরপতন হয়েছে ৭৯টি শেয়ারের। বিপরীতে ৩৩টির বা ৮ শতাংশের দর বেড়েছে, যার ছয়টির দর বেড়েছে সাড়ে ৪ থেকে সাড়ে ৯ শতাংশ।
বৃহৎ বাজার মূলধনিসহ অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দরপতন হওয়ায় প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্সের পতন হয়েছে প্রায় ৭০ পয়েন্ট, যা গত ২৮ জানুয়ারির পর সর্বোচ্চ। ২১ জানুয়ারি থেকে ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত কার্যকরের ওপর ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত বড় দরপতন হয়েছিল শেয়ারবাজারে।

পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ডিএসইএক্সভুক্ত ২৫০ শেয়ারের মধ্যে ২১২টির দরপতনে সূচক হারায় প্রায় ৭৮ পয়েন্ট। এর মধ্যে শীর্ষ ২০টির দরপতনে সূচক হারিয়েছে ৩৪ পয়েন্ট। বহুজাতিক বিএটি বাংলাদেশের শেয়ারপ্রতি ৭ টাকা ২০ পয়সা দরপতনে সূচক হারিয়েছে প্রায় ৫ পয়েন্ট। একইভাবে রেনেটার কারণে পৌনে ৪ পয়েন্ট, ওরিয়ন ফার্মার কারণে প্রায় ৩ পয়েন্ট হারায় সূচক। 

সূচকে বেশি নেতিবাচক প্রভাব ফেলা বাকি শেয়ারগুলো হলো– ওরিয়ন ইনফিউশনস, আইএফআইসি, ইউসিবি, বিকন ফার্মা, পূবালী ব্যাংক, আফতাব অটো, মার্কেন্টাইল ব্যাংক। বিপরীতে সূচকভুক্ত বাকি ৩৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি বা অপরিবর্তিত অবস্থার কারণে সূচকে যোগ হয় প্রায় ৮ পয়েন্ট। এর মধ্যে শেয়ারপ্রতি ৯০ পয়সা দরবৃদ্ধিকে ব্র্যাক ব্যাংক একই সূচকে যোগ করে প্রায় ৪ পয়েন্ট। 
বিভিন্ন মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউস কর্মকর্তারা বলছেন, সূচকের উত্থান-পতন শেয়ারদর ঠিক করে না; বরং শেয়ারদরের ওঠানামার কারণে সূচক বাড়ে বা কমে। কিন্তু বেশির ভাগ বিনিয়োগকারী সূচক দেখে শেয়ার কেনাবেচা করেন। সূচক বাড়তে দেখলেই মনে করেন বাজার ভালো হবে, আর পড়তে দেখলে ভাবেন দরপতন হবে। বাজারে বিনিয়োগ বোঝে না এমন ‘ডে ট্রেডার’ সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে এ সমস্যা তৈরি হচ্ছে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ