শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ইসলামী ইন্স্যুরেন্স বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আব্দুল খালেক মিয়াকে বেআইনিভাবে অপসারণের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) তিনি বিষয়টি বীমা নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএর কাছে মৌখিক ও লিখিতভাবে জানিয়েছেন।
অপসারণ চিঠিতে বলা হয়েছে, কোম্পানির চুক্তিভিত্তিক সিইও নিয়োগের ১০ নম্বর শর্ত অনুযায়ী পর্ষদ সভায় তাঁর চাকরির অবসানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং তা তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হয়েছে। চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের ভাইস চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ। নিয়োগ চুক্তির ১০ ধারায় দুই মাসের নোটিশে চাকরি থেকে অব্যাহতি প্রদানের বিধান থাকলেও বীমা আইন ২০১০-এর ৮০(২) উপধারায় বলা হয়েছে, কোনো সিইওকে আইডিআরএ-এর অনুমতি ছাড়া অপসারণ, বরখাস্ত বা চাকরিচ্যুত করা যাবে না।
আব্দুল খালেক মিয়া ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে তিন বছরের চুক্তিতে ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের সিইও পদে ছিলেন। তাঁর চুক্তি অনুযায়ী আরও এক বছরের বেশি সময় তিনি দায়িত্ব পালন করতে পারতেন।
জানা গেছে, গত ১৪ আগস্টের পর থেকে ছুটির কারণে আব্দুল খালেক অফিস করছেন না। ১৯ আগস্ট কোম্পানি সচিব চৌধুরী আহাসানুল হক এবং বীমা দাবি বিভাগের প্রধান জহিরুল হক সিইওর বাসায় গিয়ে পর্ষদের পক্ষ থেকে পদত্যাগের বার্তাটি পৌঁছে দেন।
ইসলামী ইন্স্যুরেন্স বাংলাদেশের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন। গত বছরের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর তিনি পলাতক রয়েছেন। তবে পর্ষদ সভা ও বার্ষিক সাধারণ সভায় অনলাইনের মাধ্যমে অংশগ্রহণ করছেন। সংশ্লিষ্টরা জানান, পর্ষদ চলছে জোড়াতালি দিয়ে। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালকদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই বীমা দাবি নিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠছে।