1. [email protected] : শেয়ার সংবাদ প্রতিবেদক : শেয়ার সংবাদ প্রতিবেদক
  2. [email protected] : শেয়ারসংবাদ.কম : শেয়ারসংবাদ.কম
  3. [email protected] : Zahir Islam : Zahir Islam
  4. [email protected] : muzahid : muzahid
  5. [email protected] : nayan : nayan
  6. [email protected] : khadija : khadija khadija
শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ১২:৫৫ অপরাহ্ন

কারসাজি নয়, কম দামে শেয়ার কেনার অপেক্ষায় নেতিবাচক শেয়ারবাজার

  • আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

গত কয়েকদিন ধরে নেতিবাচক ধারায় চলা দেশের শেয়ারবাজার নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে কারসাজির অভিযোগ তুললেও তা ভিত্তিহীন বলে প্রমাণ পেয়েছে বিএসইসির সার্ভেইল্যান্স টিম। তারা বলছেন, দীর্ঘ দেড় বছর সময়ে ফ্লোর প্রাইসে আটকে থাকা কোম্পানিগুলোর দেশি-বিদেশি ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বিক্রি করতে পারেনি। সম্প্রতি ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার হওয়ায় এসব কোম্পানিগুলোর শেয়ার বিক্রির সুযোগ পেয়েছে। ফলে বিনিয়োগকারীরা নামমাত্র শেয়ার বিক্রির অর্ডারে সূচকে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। আবার কম দামে শেয়ার কেনার অপেক্ষা করছে কিছু বিনিয়োগকারীরা, এর ফলে শেয়ারবাজারের লেনদেন কমেছে। এদিকে, মার্জিন লোনের মাধ্যমে শেয়ার ক্রয় করা বিনিয়োগকারীদের লোনের এডজাস্টমেন্টের (সমন্বয়) জন্য শেয়ার বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে। ফলে শেয়ার ক্রয়ের তুলনায় বিক্রির চাপ কিছুটা বেশি হওয়ায় নেতিবাচক ধারায় বইছে শেয়ারবাজার।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, শেয়ারবাজারে যে পরিমাণ বিক্রির আবেদন থাকে, সেই পরিমাণ ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে কাঙ্খিত দামের তুলনায় কম দামে শেয়ার বিক্রি করায় কোম্পানিগুলোতে দরপতনের পাশাপাশি সূচকে নেতিবাচক প্রবণতার ঘটনা ঘটেছে।

বিএসইসির সার্ভেইল্যান্সের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, আজ বুধবার ডিএসইর সূচক কমার পেছনে সবচেয়ে বেশি অবদান ছিলো ব্রিটিশ-আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি (বিএটিবিসি) লিমিটেডের। বুধবার কোম্পানিটির বিদেশি বিনিয়োগকারীদের হিসাব থেকে শেয়ার বিক্রি হয়েছে ২ কোটি ৮০ লাখ টাকার। একই সময়ে একটি বিদেশি হিসাব এবং দেশি বিনিয়োগকারীর বিও অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার কেনা হয়েছে ৯০ লাখ টাকার। আলোচ্য সময়ে শেয়ার বিক্রির তুলনায় শেয়ার ক্রয় কমে আসায় কোম্পানিটির আজ শেয়ারদর কমেছে ১০ টাকা ৬০ পয়সা বা ২ দশমিক ৫৬ শতাংশ।

এদিকে একই ঘটনা দেখা গেছে নেতিবাচক ধারায় থাকা আরও তিন কোম্পানির শেয়ারে। বুধবার সূচকের পতনে রেনেটার অবদান ছিলো ৫ শতাংশ। কিন্তু ডিএসইতে আজ কোম্পানিটির এক বিদেশি বিনিয়োগকারীর বিও হিসাব থেকে সর্বোচ্চ শেয়ার বিক্রি হয়েছে মাত্র ১১ লাখ টাকার। শেয়ার বিক্রির তুলনায় ক্রয় কম থাকায় কোম্পানিটি সূচকের পতনে জায়গা নিয়েছে।

জানায়, ডিএসইর সূচকে নেতিবাচক প্রবণতায় অবদান রাখা আরেক কোম্পানি বেক্সিমকো ফার্মা। ১১৪ টাকা দরে শেয়ার বিক্রি করা কোম্পানিটির আজ এক অ্যাকাউন্ট থেকে সাড়ে ৪৭ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। যা দিনের সর্বোচ্চ। শেয়ার বিক্রিতে কোন অ্যাকাউন্ট থেকে দিনের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শেয়ার বিক্রি ছিলো ২৩ লাখ টাকা। কিন্তু শেয়ার বিক্রির তুলনায় ক্রেতাদের আগ্রহ কম থাকায় কোম্পানিটির শেয়ারদর কমেছে আড়াই শতাংশ।

সূত্র মতে, শুধু দিনের হিসাবে নয়, মার্চ মাসের লেনদেনের চিত্র জুড়ে এমন ঘটনা দেখা গেছে। চলতি মার্চ মাসে বিএটিবিসির তিন বিও হিসাব থেকে শেয়ার বিক্রি হয়েছে ৫৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে একটি বিও হিসাব থেকেই বিক্রি হয়েছে মাত্র ৪৬ কোটি টাকা। প্রায় দেড় বছর ফ্লোর প্রাইসে আটকে থাকা বিএটিবিসির বড় অঙ্কের শেয়ার বিক্রি স্বাভাবিক বিষয় হলেও সামান্য সংখ্যক শেয়ার বিক্রিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বাজারে। কিন্তু শেয়ার বিক্রির তুলনায় ক্রয় কম হওয়ায় সূচককে টেনে ধরার ক্ষেত্রে মাসজুড়ে ছিলো বিএটিবিসির অবদান। শুধু মার্চ মাসেই বিএটিবিসির ১২ কোটি টাকার শেয়ার ক্রয় করেছে রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান আইসিবি। এছাড়া আরও তিনটি ভিন্ন বিও হিসাব থেকে পর্যায়ক্রমে ৫ কোটি, ৩ কোটি ৭০ লাখ এবং ৩ কোটি টাকা সমপরিমাণের শেয়ার ক্রয় ছিলো।

সূত্র জানায়, মার্চ মাসে ফ্লোর প্রাইস থেকে মুক্ত হওয়া গ্রামীনফোনের শেয়ারে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিক্রির চাপ দেখা গেছে। এ মাসে বিদেশি চারটি হিসাব থেকে পর্যায়ক্রমে ২২ কোটি, ১৭ কোটি, ৭ কোটি এবং ৩ কোটি ৮৭ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। কিন্তু বিপরীতে গ্রামীনফোন মিউচুয়াল ফান্ড থেকে ৮ কোটি এবং ব্যাংক থেকে ৫ কোটি টাকার শেয়ার কিনেছে। শেয়ার বিক্রির তুলনায় ক্রয় কমে আসায় বাজারে বড় প্রভাব ফেলেছে এই কোম্পানিটি।

এবিষয়ে বুধবার (২৭ মার্চ) বিএসইসির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা অর্থসংবাদকে বলেন, পুঁজিবাজার গত কয়েকদিন নেতিবাচক ধারায় চললেও তাতে কারসাজি বা ফোর্স সেলের ঘটনা নেই। উল্টো ক্রেতা সংকটে কম দামে শেয়ার বিক্রি হওয়ায় বাজার কিছুটা নিম্নগতিতে অবস্থান করছে। তবে ক্রেতাদের সাড়া বাড়লেই পুঁজিবাজার আগের অবস্থানে ফিরবে।

তিনি বলেন, অধিকাংশ বিনিয়োগকারীরা শেয়ারবাজারের অবস্থান বুঝতে কেনাবেচা করছেন না। কেউ কেউ আবার কম দামে শেয়ার কেনার অপেক্ষা করছেন। এসব বিনিয়োগকারীরা শেয়ার ক্রয়ে আগ্রহী হয়ে উঠলেই পুঁজিবাজার ইতিবাচক ধারায় ফিরবে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ