1. [email protected] : শেয়ার সংবাদ প্রতিবেদক : শেয়ার সংবাদ প্রতিবেদক
  2. [email protected] : শেয়ারসংবাদ.কম : শেয়ারসংবাদ.কম
  3. [email protected] : Zahir Islam : Zahir Islam
  4. [email protected] : muzahid : muzahid
  5. [email protected] : nayan : nayan
  6. [email protected] : khadija : khadija khadija
বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:০৭ পূর্বাহ্ন

ব্যাংকে ফিরছে টাকা, এগিয়ে শেয়ারবাজারের পাঁচ ব্যাংক

  • আপডেট সময় : বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

দুর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ে বিতর্ক থাকলেও ব্যাংক খাতে আবারও আমানতে জোয়ার দেখা দিয়েছে। সুদের হার সামান্য বাড়ায় চলতি বছরের এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে মাত্র তিন মাসেই আমানত বেড়েছে প্রায় ৭৩ হাজার কোটি টাকা। এর ফলে প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে ৩.৮ শতাংশে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, মার্চ শেষে ব্যাংক খাতে মোট আমানতের পরিমাণ ছিল ১৯ লাখ ২৩ হাজার ৫০৪ কোটি টাকা। জুন শেষে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৯৬ হাজার ৫৮৩ কোটি টাকায়।

কোন ব্যাংকে বেশি আমানত

২০২৫ সালের জানুয়ারি-জুন সময়ে সবচেয়ে বেশি আমানত বেড়েছে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ব্র্যাক ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি) ও পূবালী ব্যাংকে।

শহর বনাম গ্রাম

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে গ্রামীণ এলাকায় আমানতের প্রবৃদ্ধি শহরের চেয়ে বেশি হয়েছে। জুন শেষে মোট ১৯ লাখ ৯৬ হাজার ৫৮৩ কোটি টাকার আমানতের মধ্যে শহরে ছিল ১৬ লাখ ৮০ হাজার ৫৫৮ কোটি টাকা এবং গ্রামে ৩ লাখ ১৬ হাজার ২৪ কোটি টাকা।

মার্চে যেখানে শহরের অংশ ছিল ৮৪.১৭ শতাংশ এবং গ্রামের ১৫.৮৪ শতাংশ, সেখানে জুন শেষে গ্রামীণ আমানতের প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ৪.৮৭ শতাংশে—যা শহরের ৩.৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধির চেয়ে বেশি। বিশ্লেষকদের মতে, ডিজিটাল ব্যাংকিং, সঞ্চয়পত্র এবং বিভিন্ন প্রণোদনা গ্রামীণ সঞ্চয়ে ভূমিকা রেখেছে।

সুদের হারের প্রভাব

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মার্চ শেষে গড় সুদের হার ছিল ৬.২৪ শতাংশ। জুন শেষে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৬.৩১ শতাংশে। এই সামান্য বৃদ্ধিই গ্রাহকদের হাতে নগদ না রেখে ব্যাংকে জমা রাখতে উৎসাহিত করেছে।

ব্যাংকার ও বিশ্লেষকের মত

মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের এমডি ও সিইও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, “টাকা হাতে রাখার সুযোগ নেই। সুদ বেড়ে যাওয়ায় মানুষ এখন ব্যাংকে টাকা রাখছে, ফলে আমানত আরও বাড়বে।”

বিশ্বব্যাংকের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন মনে করেন, “খেলাপি ঋণ ও অনিয়ম থাকা সত্ত্বেও ইসলামী ব্যাংকসহ শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলো আমানতে সাড়া জাগিয়েছে। তবে দুর্বল ব্যাংকগুলো আস্থা ফেরাতে পারলে প্রবৃদ্ধি আরও বেশি হতো।”

অর্থনৈতিক বিশ্লেষক মো. হেলাল আহমেদ জনি বলেন, “গ্রামীণ আমানত বৃদ্ধিকে ইতিবাচক সংকেত বলা যায়। কিন্তু শুধু সুদের হার বাড়িয়ে এই প্রবণতা দীর্ঘস্থায়ী করা যাবে না; ব্যাংক খাতে আস্থা ফেরানোই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।”

ঋণের চিত্র

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, মার্চ শেষে মোট ঋণের পরিমাণ ছিল ১৭ লাখ ১২ হাজার ৬১৮ কোটি টাকা। জুন শেষে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৩৪ হাজার ১৭২ কোটি টাকায়। অর্থাৎ তিন মাসে ঋণ বেড়েছে ২১ হাজার ৫৫৪ কোটি টাকা বা ১.২৬ শতাংশ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, “সুদের হার বাড়ায় মানুষ ব্যাংকে টাকা রাখছে। কয়েকটি দুর্বল ব্যাংক বাদ দিলে সবার অবস্থাই এখন ইতিবাচক।”

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

২ লাখ ২৫ হাজার শেয়ার ক্রয়

  • ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ফের বাড়লো স্বর্ণের দাম

  • ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫