1. [email protected] : শেয়ার সংবাদ প্রতিবেদক : শেয়ার সংবাদ প্রতিবেদক
  2. [email protected] : শেয়ারসংবাদ.কম : শেয়ারসংবাদ.কম
  3. [email protected] : Zahir Islam : Zahir Islam
  4. [email protected] : muzahid : muzahid
  5. [email protected] : nayan : nayan
  6. [email protected] : khadija : khadija khadija
মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫, ০১:১০ অপরাহ্ন

৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করতে শেয়ার কিনলেন এক কোম্পানির উদ্যোক্তা

  • আপডেট সময় : মঙ্গলবার, ১০ জুন, ২০২৫

দেশের শেয়ারবাজারে দীর্ঘমেয়াদি মন্দা পরিস্থিতি ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির কঠোর নির্দেশনার মধ্যেও এক অনুকরণীয় পদক্ষেপ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নতুন করে আশার আলো জ্বেলেছে। বিএসইসি সম্প্রতি তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর উদ্যোক্তা-পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে ন্যূনতম ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণের বাধ্যবাধকতা পুনরায় জোরালোভাবে কার্যকর করেছে। এই নির্দেশনা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে মৌলভিত্তির কোম্পানি অ্যাপেক্স ফুটওয়্যারের উদ্যোক্তারা যে দ্রুততা ও দায়বদ্ধতা দেখিয়েছেন, তা বাজারের জন্য একটি ইতিবাচক বার্তা বহন করে। যদিও কোম্পানিটির উদ্যোক্তা পরিচালকরা কোম্পানিটির সম্মিলিত শেয়ার ৩০ শতাংশ ধারণ করার উদ্যোগ আগেই নিয়েছেন।

জানা গেছে, কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা মঞ্জুর এলাহির মৃত্যুর পর তার মালিকানাধীন ১১ লাখ ৫০ হাজার ৪৯৫টি শেয়ার তার দুই পুত্রের নামে হস্তান্তর করা হয়। এর ফলে ৩০ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে অ্যাপেক্স ফুটওয়্যারের উদ্যোক্তা-পরিচালকদের সম্মিলিত শেয়ারধারণের পরিমাণ সাময়িকভাবে কমে ২৯.৫০ শতাংশে নেমে যায়, যা বিএসইসির নির্ধারিত ন্যূনতম শেয়ারধারণ শর্তের নিচে পড়ে।

তবে এই অবস্থায় কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকরা দায়িত্বশীলতার সঙ্গে দ্রুত বাজার থেকে শেয়ার সংগ্রহ করে নেন এবং ৩১ মে ২০২৫ তারিখে তারা সম্মিলিতভাবে ৩১.৫৪ শতাংশ শেয়ার ধরে রাখেন—যা নির্দেশনার চেয়েও বেশি। পাশাপাশি একই সময়ে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ারধারণ কিছুটা কমে ২৬.৭২ শতাংশে এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার কমে দাঁড়ায় ৪১.৭৪ শতাংশে।

অ্যাপেক্স ফুটওয়্যারের উদ্যোক্তা-পরিচালকদের এই উদ্যোগ শুধুমাত্র আইন পরিপালনের দৃষ্টান্ত নয়; এটি কোম্পানির প্রতি তাদের দায়বদ্ধতা, ভবিষ্যতের প্রতি আস্থা এবং বাজারের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের প্রতিফলন। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, অন্যান্য কোম্পানিও যদি এভাবে বিএসইসির সময়োচিত নির্দেশনা অনুসরণ করে, তবে শেয়ারবাজারে শৃঙ্খলা ও জবাবদিহিতা যেমন প্রতিষ্ঠিত হবে, তেমনি বিনিয়োগকারীদের আস্থাও দৃঢ় হবে। এ ধরনের ইতিবাচক প্রবণতা দীর্ঘমেয়াদে একটি সুস্থ, গতিশীল ও স্থিতিশীল পুঁজিবাজার গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ