আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে বাড়তে পারে ব্যক্তিশ্রেণির বার্ষিক করমুক্ত আয়সীমা। বর্তমানে এই সীমা সাড়ে ৩ লাখ টাকা হলেও, তা আরও ২৫ হাজার টাকা বাড়িয়ে ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা করার প্রস্তাব রয়েছে।
সোমবার বিকেলে অর্থ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাজেটবিষয়ক এক বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকটি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে যমুনা বাসভবনে অনুষ্ঠিত হয়। এতে এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানোর বিষয়ে নীতিগতভাবে একমত হয়েছে সরকার। এনবিআরকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।
এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, “আগামী বাজেটে কর দেওয়ার প্রক্রিয়াকে সহজ করার ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, অনলাইনে রিটার্ন জমা দেওয়ার ব্যবস্থা আরও উৎসাহিত করা হবে এবং কোম্পানির ক্ষেত্রে এটি বাধ্যতামূলক করার চিন্তাও রয়েছে।
বৈঠকে আরও যেসব প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়েছে:
ন্যূনতম কর নির্ধারণ: ব্যক্তি করদাতাদের জন্য সর্বনিম্ন কর পাঁচ হাজার টাকা করার প্রস্তাব রয়েছে, যা বর্তমানে তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকার মধ্যে এলাকাভেদে পরিবর্তিত হয়।
কর নিবন্ধনের বিস্তার: বর্তমানে ১ কোটি ১১ লাখ টিআইএনধারীর মধ্যে বছরে গড়ে ৪০ লাখ রিটার্ন জমা দেন। রিটার্ন প্রদানে উৎসাহ এবং করদাতার সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
টার্নওভার কর: বছরে তিন কোটির বেশি টার্নওভার হলে বর্তমানে ০.৬% হারে কর দিতে হয়। এটি বাড়িয়ে ১% করার প্রস্তাব রয়েছে।
শেয়ারবাজারে কর ছাড়: নতুন কোম্পানিগুলোর তালিকাভুক্তির শর্ত সহজ করার পাশাপাশি কর ছাড় দেওয়ার কথাও ভাবা হচ্ছে।
ভ্যাট বৃদ্ধি: স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ফ্রিজ ও এয়ারকন্ডিশনের ওপর ভ্যাট ৭.৫% থেকে বাড়িয়ে ১৫% করা হতে পারে। মোবাইল ফোনের ভ্যাটও বাড়ানো হতে পারে।