1. [email protected] : শেয়ার সংবাদ প্রতিবেদক : শেয়ার সংবাদ প্রতিবেদক
  2. [email protected] : শেয়ারসংবাদ.কম : শেয়ারসংবাদ.কম
  3. [email protected] : Zahir Islam : Zahir Islam
  4. [email protected] : muzahid : muzahid
  5. [email protected] : nayan : nayan
  6. [email protected] : khadija : khadija khadija
রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:৫৮ অপরাহ্ন

মতিউর ও পরিবারের সদস্যদের বিও হিসাব স্থগিত করার নির্দেশ

  • আপডেট সময় : বুধবার, ২৬ জুন, ২০২৪

সম্প্রতি ছাগল কাণ্ডে বেশ আলোচিত-সমালোচিত হয়েছেন রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর রহমান। এরপর চাকরি থেকে ওএসডি করা হয়েছে তাকে। পাশাপাশি রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের পরিচালক পদ থেকেও অপসারণ করা হয়। এবার ছাগল কাণ্ডের জের ধরে মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের বিও (বেনিফিশিয়ারি) হিসাব স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

মঙ্গলবার (২৫ মে) দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) থেকে বিএসইসিকে মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের বিও (বেনিফিশিয়ারি) হিসাব স্থগিত করার জন্য একটি চিঠি পাঠানো হয়। এরপরই বিএসইসির পক্ষ থেকে বিও হিসাব স্থগিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম অর্থসূচককে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।


বিএসইসি সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএলকে)-কে বিও হিসাব স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছে বলেও জানান তিনি।

সিডিবিএল ইলেকট্রনিক শেয়ার সংরক্ষণ, লেনদেন নিস্পত্তি ও শেয়ার হস্তান্তরের হালনাগাদ তথ্য রাখে। সব ব্রোকারেজ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার কেনা-বেচা ও স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন তথ্য সিডিবিএল এর মাধ্যমে নিস্পত্তি হয়ে থাকে। বিও হিসাব নিয়ন্ত্রণ করে থাকে সিডিবিএল।

জানা যায়, স্থগিত থাকায় মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের মালিকানায় থাকা বিও হিসাব থেকে কোনো প্রকার শেয়ার কেনা-বেচা বন্ধ থাকবে। বিও হিসাবে থাকা অর্থ উত্তোলন করা সম্ভব হবে না।

সংবাদপত্র ও সোশাল মিডিয়ায় আলোচিত হওয়া নিয়ে গত ২০ জুন বেসরকারি এক টেলিভিশনে দেওয়া স্বাক্ষাতকারে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের কথা প্রকাশ করেন মতিউর রহমান।

তিনি বলেন, পুঁজিবাজারে শুধু মেয়ের নামে বিনিয়োগ করে ১ কোটি টাকায় ১৪ কোটি টাকা মুনাফা করেছি। এই বাজার থেকে তিনি বিপুল পরিমাণ অর্থ বানিয়েছেন বলে নিজেই দাবি করেছেন।

ওই সাক্ষতাকারে মতিউর রহমান দাবি করেন, তিনি বুদ্ধি ও পরিশ্রমের মাধ্যমে শেয়ারবাজারকে কাজে লাগিয়ে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন। তার দাবি, তিনি দুর্বল কিন্তু সম্ভাবনাময় কোম্পানির মালিকদের সাথে বসে ওই কোম্পানির উন্নয়নের পরিকল্পনা করেন। ওই পর্যায়ে তিনি কম দামে বিপুল সংখ্যক শেয়ার কিনে নেন, পরে কোম্পানি কিছুটা ভাল করলে উচ্চ দামে ওই শেয়ার বিক্রি করে বিপুল মুনাফা করেন।

তিনি জানিয়েছেন, ট্যানারি খাতের কোম্পানি ফরচুন সু’র মালিকরা তার কাছের মানুষ। তাকে ওই কোম্পানির মালিকরা ৮ টাকা দামে শেয়ার দিয়েছিল। পরে তিনি ৫৪ টাকা দামে ওই শেয়ার বিক্রি করে অনেক মুনাফা করেছেন।

মতিউর আরও দাবি করেন, তিনি একটি জমি বিক্রি করে সাড়ে ৪ কোটি টাকা পেয়েছিলেন। ওই টাকা থেকে পুঁজিবাজারে ২ কোটি টাকা নিজের নামে এবং ১ কোটি টাকা তার মেয়ে ফারহানা রহমানের নামে বিনিয়োগ করেন। শুধু তার মেয়ের বিনিয়োগ থেকেই তিনি ১৪ কোটি টাকা মুনাফা করেছেন।

আলোচিত মতিউর এ সময়ে একটি হিসাবে ১ কোটি টাকা বিনিয়োগের বিপরীতে ১৪ কোটি টাকা মুনাফা করেছেন। অর্থাৎ মুনাফার হার ১৪০০ শতাংশ। তার নিজের নামের বিনিয়োগ থেকে কত টাকা মুনাফা করেছেন, তা না জানালেও সেটি ২০/২৫ কোটি টাকার কম হবে না বলে ধারণা করা যায়। গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে পুঁজিবাজারে চলছে মন্দা অবস্থা। এই বাজারে সিংহভাগ বিনিয়োগকারী বিপুল লোকসানের শিকার হলেও মতিউরের এই অবিশ্বাস্য মুনাফা অর্জনের বিষয়টি নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। কোনো ধরনের কারসাজি ছাড়া স্বাভাবিক বিনিয়োগ থেকে এমন মুনাফা সম্ভব নয় বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। কারণ বড় বড় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, যাদের রয়েছে দক্ষ ও পেশাদার রিসার্চ টিম, সেসব প্রতিষ্ঠানও এই সময়ে গেড় ২০ শতাংশ মুনাফা করতে পারেনি।

তিনি আরও বলেন, স্ত্রী, কন্যা ও পুত্র নিয়ে পরিচালিত পারিবারিক ব্যবসাও আছে। সেখানেও সময় দেওয়ার কথা জানিয়ে বলেন বিশাল সম্পদ অর্জনের পেছনে কঠোর পরিশ্রম রয়েছে। ভোর চারটায় ঘুম থেকে উঠে রাত ১২ টা পর্যন্ত কাজ করি। তাহলে আমার সম্পদ কেনো বাড়বে না?’’

২০০৮ সাল থেকে দেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ শুরু করার সময় পুঁজির উৎস সম্পর্কে তিনি জানিয়েছেন, কর্মজীবনে ২৬ লাখ টাকা পাওয়া পুরস্কারের অর্থের সঙ্গে মিলিয়ে ৩৭ লাখ টাকায় ঢাকায় জমি কেনেন। ২০০৮ সালে সেই জমি এক ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করেন সাড়ে চার কোটি টাকায়।

সরকারি কর্মচারি হয়ে কোম্পানির ব্যবসা নিয়ে কাজ করা, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ ও সময় দেওয়া আইন লঙ্ঘন কি, না এমন প্রশ্নে মতিউর রহমান বলেন, ‘‘আমি সরকারি কাজ বিঘ্ন করে করিনি। আপনার যদি বুদ্ধি থাকে, এনালিটিক্যাল(বিশ্লেষণী) পাওয়ার(সক্ষমতা) থাকে, আপনার যদি ভবিষ্যতে কোনটা (শেয়ার দর কতোটুক বাড়তে পারে এমন ধারণা) কোথায় যাবে, তাহলে আপনি করতে পারবেন। এর জন্য সরকারি অনুমোদনের প্রয়োজন নেই। সরকারি অনেক কর্মকর্তা পুঁজিবাজারে আছে।’’

মতিউর রহমান এর আগে ব্রাসেলসে বাংলাদেশের কমার্শিয়াল কাউন্সিলের, চট্টগ্রাম কাস্টমসের কমিশনার, ভ্যাট কমিশনারসহ বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন।

আলোচনায় উঠার পর গত ২৩ জুন মতিউর রহমান থেক এনবিআরের সদস্য ও ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরিয়ে অর্থমন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে সংযুক্ত করা হয়। এখানে তাকে কেনো প্রকার দায়িত্ব না দিয়ে ওএসডি বা বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে রাখা হয়। পরের দিন রাষ্ট্রায়ত্ব সোনালী ব্যাংকের পরিচালক পদ থেকেও তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
trade suspended

পাঁচ কোম্পানির লেনদেন বন্ধ

  • ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ওয়ালটনের লভ্যাংশ ঘোষণা

  • ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫