1. [email protected] : শেয়ার সংবাদ প্রতিবেদক : শেয়ার সংবাদ প্রতিবেদক
  2. [email protected] : শেয়ারসংবাদ.কম : শেয়ারসংবাদ.কম
  3. [email protected] : Zahir Islam : Zahir Islam
  4. [email protected] : muzahid : muzahid
  5. [email protected] : nayan : nayan
  6. [email protected] : khadija : khadija khadija
রবিবার, ১২ মে ২০২৪, ০৮:৫২ পূর্বাহ্ন

বিএসইসির আদেশে উদ্বিগ্ন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ

  • আপডেট সময় : রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪

শেয়ারদরে স্ট্যান্ডার্ড বা আদর্শ সার্কিট ব্রেকার ব্যবস্থা স্থগিত করে নিম্নসীমা ৩ শতাংশে বেঁধে দেওয়ার সিদ্ধান্তে উদ্বেগ জানিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালনা পর্ষদ। তারা বলেছেন, এ সিদ্ধান্ত শেয়ারবাজারে ভালো ফল বয়ে আনবে না। এতে দর পতন বন্ধ হবে না। গত বৃহস্পতিবার সকালে স্টক এক্সচেঞ্জটির পরিচালনা পর্ষদ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির চেয়ারম্যানের সঙ্গে এক বৈঠকে তাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছে।

ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ যখন এমন মতামত দিচ্ছিল, তখন ডিএসইর প্রধান মূল্য প্রায় ১০০ পয়েন্ট হারায়। ১৫ থেকে ১৬টি বাদে তালিকাভুক্ত প্রায় সব শেয়ার দর হারিয়েছিল। ক্রেতাশূন্য অবস্থায় পড়ে প্রায় দুইশ কোম্পানির শেয়ার।

বিএসইসির সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিএসইর একাধিক পরিচালক জানিয়েছেন, বুধবার সন্ধ্যায় পরিচালনা পর্ষদের সভা চলকালীন সার্কিট ব্রেকারে নতুন নিয়ম বেঁধে দেওয়ার বিষয়ে বিএসইসির চেয়ারম্যানের আদেশের কপি পান তারা। তখনই এ বিষয়ে ডিএসইর পরিচালকরা এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে ডিএসইর পর্ষদের সঙ্গে বৈঠকে বিএসইসির পক্ষে একা চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম অংশ নেন। তবে ডিএসইর দিক থেকে চেয়ারম্যান ছাড়াও পরিচালকদের মধ্যে অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মো. আফজাল হোসেন, রুবাবা দৌলা, মো. শাহেদুল ইসলাম, কাওসার আহমেদ, মো. শাকিল রিজভী, মোহাম্মদ শাহজাহান, শরীফ আনোয়ার হোসেন, রিচার্ড ডি রোজারিও অংশ নেন। এ সময় ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. তারিকুজ্জামান, সিআরও খায়রুল বাশার আবু তাহের মোহাম্মদ এবং কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ আসাদুর রহমান অংশ নেন।
বিএসইসির সঙ্গে বৈঠকে ডিএসইর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শেয়ারবাজার স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা না করে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হয়নি। ইতোপূর্বে একই ধরনের সিদ্ধান্ত বিনিয়োগকারী এবং সার্বিকভাবে শেয়ারবাজারের জন্য ভালো হয়নি। ফ্লোর প্রাইস বা সার্কিট ব্রেকারের নিম্নসীমা কমিয়ে অতীতে কখনও দরপতন ঠেকানো যায়নি।

বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত ডিএসইর পরিচালকদের জানান, টানা দর পতন রুখতে সার্কিট ব্রেকারের নিম্নসীমা ৩ শতাংশে বেঁধে দেওয়া ছাড়া বিকল্প খুঁজে পাচ্ছিলেন না। তবে ‘এ ব্যবস্থা খুবই সাময়িক সময়ের জন্য’ এমন মন্তব্য করে তিনি ডিএসইর পর্ষদকে আশ্বাস দেন, শিগগির এ নিয়ম তুলে নেবেন।
ডিএসইর পরিচালকরা বলেন, শেয়ারবাজার মূলত স্টক এক্সচেঞ্জ পরিচালিত একটি বাজার। সার্বিকভাবে শেয়ারবাজার ভালোমন্দ শুধু স্টক এক্সচেঞ্জের লাভক্ষতির বিষয় নয়। এর সঙ্গে লাখ লাখ সাধারণ বিনিয়োগকারীর ভাগ্য জড়িত। বিএসইসি যদি ঘন ঘন আইন বদল করে বা শেয়ারবাজারে হস্তক্ষেপ করে, তাহলে বিনিয়োগকারীদের আস্থায় চিড় ধরে, যার ফল তাৎক্ষণিকভাবে তো নয়ই, দীর্ঘমেয়াদেও ভালো হয় না। ভবিষ্যতে এ ধরনের বড় সিদ্ধান্তের আগে ডিএসইর পরামর্শ নেওয়ার জন্য বিএসইসির চেয়ারম্যানকে অনুরোধ জানায় ডিএসইর পর্ষদ।

ডিএসইর পর্ষদ বিএসইসির চেয়ারম্যানকে আরও জানায়, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি নিয়ন্ত্রক সংস্থার পক্ষ থেকে তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানিকে কীভাবে কখন জেড ক্যাটেগরিভুক্ত করবে স্টক এক্সচেঞ্জ, সে বিষয়ে যে আদেশ দিয়েছে, ওই আদেশ মানতে বিদ্যমান ৫৫ কোম্পানির শেয়ারের বাইরে আরও প্রায় ১০০ শেয়ারকে জেড ক্যাটেগরিভুক্ত করা ছাড়া বিকল্প নেই। কমিশনের আদেশ ডিএসইর জন্য পরিপালন করা বাধ্যতামূলক। এ কারণে ডিএসইর ব্যবস্থাপনা বিভাগ প্রায় ১০০ কোম্পানির তালিকা পরিচালনা পর্ষদে উপস্থাপন করেছিল। তবে ডিএসইর পর্ষদ ওই তালিকা অনুমোদন করেনি। এর কারণ ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, সে ক্ষেত্রে তালিকাভুক্ত কোম্পানির অর্ধেকের বেশি শেয়ার জেড ক্যাটেগরিভুক্ত হয়ে পড়বে, বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ভুল বার্তা যাবে। এ বিষয়ে বিএসইসির চেয়ারম্যান ডিএসইর পর্ষদকে বলেন, তাড়াহুড়া করে আদেশ দিতে গিয়ে ভুল হয়ে যেতে পারে। আগামী দু-একদিনের মধ্যে জেড ক্যাটেগরি সংক্রান্ত আদেশটি সংশোধন করে দেওয়া হবে।
বৈঠকে ডিএসইর পরিচালকরা শেয়ারবাজারে আইপিও ইস্যুর বিষয়ে তাদের মত তুলে ধরেন। তারা বিএসইসির চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করেন, যেনতেন কোম্পানি যাতে আইপিওতে অনুমোদন না পায়। অনুমোদন দেওয়ার আগে যাতে ভালোভাবে যাচাই-বছাই করা হয়। এ ছাড়া আইপিওর বিষয়ে ডিএসই নেতিবাচক মত দিলে যাতে বিবেচনায় নেওয়া হয়।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ