1. [email protected] : শেয়ার সংবাদ প্রতিবেদক : শেয়ার সংবাদ প্রতিবেদক
  2. [email protected] : শেয়ারসংবাদ.কম : শেয়ারসংবাদ.কম
  3. [email protected] : Zahir Islam : Zahir Islam
  4. [email protected] : muzahid : muzahid
  5. [email protected] : nayan : nayan
  6. [email protected] : khadija : khadija khadija
বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫০ পূর্বাহ্ন

শুরুতে ১১ প্রতিষ্ঠান পাচ্ছে সিএমএসএফের ঋণসুবিধা

  • আপডেট সময় : বুধবার, ৩ এপ্রিল, ২০২৪

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের জন্য বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংককে কম সুদে ও সহজ শর্তে ঋণ দিতে কমিউনিটি ব্যাংকের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি করেছে শেয়ারবাজার স্থিতিশীলকরণ তহবিল বা সিএমএসএফ কর্তৃপক্ষ। এ চুক্তির আওতায় শেয়ারবাজারে তারল্যপ্রবাহ বাড়াতে ব্রোকারেজ হাউস, মার্চেন্ট ব্যাংক ও সম্পদ ব্যবস্থাপক কোম্পানিগুলোর বিপরীতে ১০০ কোটি টাকার সহজ শর্তে ঋণ দেওয়া হবে।

গতকাল মঙ্গলবার এ চুক্তিতে সই করেন সিএমএসএফের পরিচালন প্রধান মো. মনোয়ার হোসেন ও কমিউনিটি ব্যাংকের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা শামসুল হক সুফিয়ানী। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সিএমএসএফের চেয়ারম্যান ও সাবেক মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান ও বোর্ড অব গভর্নরসের সদস্য দেলোয়ার হোসেন, কমিউনিটি ব্যাংকের কর্মকর্তা মো. খায়রুল আলম, আরিফুল ইসলাম প্রমুখ।

সিএমএসএফ সূত্রে জানা যায়, গত জানুয়ারি তহবিলটির পরিচালনা পর্ষদের সভায় বাজার মধ্যস্থতাকারীদের ১০০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। ধাপে ধাপে এ অর্থ ঋণ হিসেবে বাজার মধ্যস্থতাকারীদের মধ্যে বিতরণ করা হবে। এখন পর্যন্ত তহবিল কর্তৃপক্ষের যে সিদ্ধান্ত, তাতে ৮ দশমিক ২৫ শতাংশ সুদে এ ঋণ দেওয়া হবে ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোকে। এর মধ্যে সিএমএসএফ কর্তৃপক্ষ পাবে ৭ শতাংশ সুদ। বাকি সোয়া ১ শতাংশ সুদ নেবে ব্যাংক। এ তহবিল থেকে ঋণসুবিধা নিতে ঋণের সমপরিমাণ অর্থ নিজেদেরও বিনিয়োগ করতে হবে ঋণগ্রহীতাদের। ধরা যাক, কোনো একটি ব্রোকারেজ হাউস বা মার্চেন্ট ব্যাংক সিএমএসএফ থেকে ৫ কোটি টাকার ঋণের আবেদন করেছে। এ ঋণ পেতে হলে ওই প্রতিষ্ঠানকে নিজস্ব তহবিল থেকেও ৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। আলাদা একটি ব্যাংক হিসাবে নিজস্ব অর্থ জমা হওয়ার পর ঋণের অর্থ ছাড় করা হবে।

জানা গেছে, প্রথম পর্যায়ে ১১টি প্রতিষ্ঠানকে ঋণ বিতরণের জন্য চূড়ান্তভাবে বাছাই করা হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানকে মোট ৩১ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করা হবে। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো ইবিএল সিকিউরিটিজ, বিডি ফাইন্যান্স ক্যাপিটাল, কাজী ইক্যুইটিজ, মিডওয়ে সিকিউরিটিজ, এসআইবিএল সিকিউরিটিজ, প্রাইলিঙ্ক সিকিউরিটিজ, বারাকা সিকিউরিটিজ, বিনিময় সিকিউরিটিজ, ক্যাল সিকিউরিটিজ, ইমার্জিং গ্লোবাল অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট ও ম্যাট্রিক্স সিকিউরিটিজ। এর মধ্যে যেসব ব্রোকারেজ হাউসের মালিকানার সঙ্গে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান জড়িত, তাদের প্রত্যেককে ৫ কোটি টাকা করে এবং ব্যক্তিমালিকানার ব্রোকারেজ হাউসগুলোকে ২ কোটি টাকা করে ঋণ দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এ বিষয়ে সিএমএসএফের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তির ফলে ঋণ প্রদানের কার্যক্রম অনেক দূর এগিয়ে গেল। এখন ঋণ গ্রহীতা শর্ত পরিপালন করে আবেদন করলে ঈদের ছুটির পর থেকে ঋণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু হবে।

শেয়ারবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর অবণ্টিত লভ্যাংশ দিয়ে ২০২১ সালে সিএমএসএফ তহবিল গঠিত হয়। এই তহবিলে অবণ্টিত নগদ ও বোনাস লভ্যাংশ মিলিয়ে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা জমা হয়েছে। তহবিলে থাকা নগদ অর্থ থেকে এরই মধ্যে ২২৫ কোটি টাকা রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা আইসিবির মাধ্যমে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করা হয়েছে। আর ৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে একটি মিউচুয়াল ফান্ড গঠনে। বাকি অর্থ থেকে এখন শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের জন্য ১০০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তহবিল গঠনের পর থেকে প্রায় ২৫০ কোটি টাকার লভ্যাংশ দাবির নিষ্পত্তিও করা হয়েছে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ