1. [email protected] : শেয়ার সংবাদ প্রতিবেদক : শেয়ার সংবাদ প্রতিবেদক
  2. [email protected] : শেয়ারসংবাদ.কম : শেয়ারসংবাদ.কম
  3. [email protected] : Zahir Islam : Zahir Islam
  4. [email protected] : muzahid : muzahid
  5. [email protected] : nayan : nayan
  6. [email protected] : khadija : khadija khadija
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৩:১৩ অপরাহ্ন

৪২৫ পয়েন্ট হারিয়েছে সূচক মার্চে পুঁজিবাজারে লেনদেন কমেছে ৫৩%

  • আপডেট সময় : সোমবার, ১ এপ্রিল, ২০২৪

২০২৪ সালের প্রথম দুই মাসে দেশের পুঁজিবাজারে কিছুটা চাঙ্গা ভাব দেখা গিয়েছিল। এ সময়ে সূচক ও লেনদেনে ঊর্ধ্বমুখিতা পরিলক্ষিত হয়েছে। তবে গত মার্চে পুঁজিবাজারে বড় দরপতন হয়েছে। এ সময়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স ৪২৫ পয়েন্ট হারিয়েছে। এক্সচেঞ্জটির দৈনিক গড় লেনদেন কমেছে প্রায় ৫৩ শতাংশ। মূলত লোকসান এড়াতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শেয়ার বিক্রির প্রবণতা তীব্র হওয়ার কারণে মার্চে পুঁজিবাজারে নিম্নমুখিতা দেখা গেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

ইবিএল সিকিউরিটিজের মাসিক পুঁজিবাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত ফেব্রুয়ারি শেষে ডিএসইএক্স সূচক ছিল ৬ হাজার ২৫৫ পয়েন্টে। মার্চ শেষে সূচকটি কমে ৫ হাজার ৮৩০ পয়েন্টে এসে দাঁড়িয়েছে। এক মাসে ডিএসইর প্রধান সূচক কমেছে ৪২৫ পয়েন্ট। গত ফেব্রুয়ারিতে ডিএসইতে দৈনিক গড়ে ১১ কোটি ৫০ লাখ ডলারের লেনদেন হয়েছে। গত মার্চে তা কমে ৫ কোটি ৪০ লাখ ডলারে দাঁড়িয়েছে। এক মাসের ব্যবধানে এক্সচেঞ্জটির দৈনিক গড় লেনদেন কমেছে প্রায় ৫৩ শতাংশ।

এক বছর ধরেই পুঁজিবাজারে লেনদেনের পরিমাণ নিম্নমুখী। এর মধ্যে গত বছরের মার্চে ৪ কোটি ৫০ লাখ, এপ্রিলে ৫ কোটি ৪০ লাখ, মে মাসে ৮ কোটি ২০ লাখ, জুনে ৭ কোটি ৬০, জুলাইয়ে ৭ কোটি ২০ লাখ, আগস্টে ৪ কোটি, সেপ্টেম্বরে ৫ কোটি ৭০ লাখ, অক্টোবরে ৪ কোটি ২০ লাখ, নভেম্বরে ৩ কোটি ৯০ লাখ, ডিসেম্বরে ৪ কোটি ৯০ লাখ ও গত জানুয়ারিতে দৈনিক গড়ে ৬ কোটি ৫০ লাখ ডলারের লেনদেন হয়েছে পুঁজিবাজারে।

বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, পুঁজিবাজারের ভবিষ্যৎ পূর্বাভাস নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে দুশ্চিন্তা বেড়েছে এবং এটি তাদের বিনিয়োগ সিদ্ধান্তকেও প্রভাবিত করছে। বাজারের ক্রমাগত দরপতনের কারণে পোর্টফোলিওর লোকসান আরো বাড়তে পারে এমন শঙ্কায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শেয়ার বিক্রির প্রবণতা বাড়ছে। বিশেষ করে মার্জিন ঋণ নেয়া বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছিল সবচেয়ে বেশি। সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) তথ্য বলছে, গত এক মাসে ৯ হাজার ২২৪টি বিও হিসাবে থাকা সব শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।

মার্চে দেশের পুঁজিবাজারের মূলধন কমেছে ৭০৫ কোটি ৪০ লাখ ডলার। গত ফেব্রুয়ারিতে বাজার মূলধন ছিল ৬ হাজার ৯৩১ কোটি ৪০ লাখ ডলার, যা মার্চ শেষে ৬ হাজার ২২৬ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। মার্চে জিডিপি ও বাজার মূলধনের অনুপাত দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৭ শতাংশে, যা এক বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। বর্তমানে দেশের পুঁজিবাজারের মূল্য-আয় অনুপাত (পিই রেশিও) ১৩ দশমিক শূন্য ২।

বিশ্বের অন্যান্য প্রধান পুঁজিবাজারের তুলনায় গত মার্চে দেশের পুঁজিবাজারের পারফরম্যান্স ছিল নিম্নমুখী। এ সময়ে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, ভিয়েতনাম, পাকিস্তান ও শ্রীলংকার পুঁজিবাজার ছিল ঊর্ধ্বমুখী। অন্যদিকে গত মার্চে হংকং, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, ভারত ও বাংলাদেশের পুঁজিবাজার ছিল নিম্নমুখী। এর মধ্যে পারফরম্যান্সের দিক দিয়ে দেশের পুঁজিবাজার ছিল সবচেয়ে পিছিয়ে।

গতকাল দেশের দুই পুঁজিবাজারে সূচকের ঊর্ধ্বমুখিতায় লেনদেন শেষ হয়েছে। এর মধ্যে ডিএসইএক্স সূচক বেড়েছে ৫১ পয়েন্ট এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সিএএসপিআই সূচক বেড়েছে ৭৫ পয়েন্ট। গতকাল ডিএসইতে দৈনিক লেনদেন বাড়লেও সিএসইতে কমেছে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ