1. [email protected] : শেয়ার সংবাদ প্রতিবেদক : শেয়ার সংবাদ প্রতিবেদক
  2. [email protected] : শেয়ারসংবাদ.কম : শেয়ারসংবাদ.কম
  3. [email protected] : Zahir Islam : Zahir Islam
  4. [email protected] : muzahid : muzahid
  5. [email protected] : nayan : nayan
  6. [email protected] : khadija : khadija khadija
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৪৯ অপরাহ্ন

প্রস্তাবিত বাজেটে সাত প্রস্তাব পুনর্বিবেচনা দাবি ডিএসই’র

  • আপডেট সময় : মঙ্গলবার, ৬ জুন, ২০২৩

প্রস্তাবিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটকে অভিনন্দন জানিয়ে ৭টি প্রস্তাব পুনর্বিবেচনা করার দাবি জানিয়েছেন দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহাম্মদ হাসান বাবু। ইতোমধ্যে ওই প্রস্তাবগুলো পুনর্বিবেচনা করার জন্য অর্থমন্ত্রী, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), পরিকল্পনামন্ত্রী, বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার (৬ জুন) রাজধানীর একটি হোটেলে ডিএসই’র বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় ডিএসই’র স্বতন্ত্র পরিচালক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, রুবাবা দৌলাসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ডিএসই চেয়ারম্যান বলেন, সরকার হয়তো এবার শেয়ারবাজারে করারোপ করেননি। তবে আমাদের কিছু চাহিদা ছিল, সেটার বিষয়ে দৃষ্টি দেননি। এ বিষয়েও পরিকল্পনামন্ত্রী গত রোববার তার বক্তব্যে বলেছেন। আমাদের পুঁজিবাজার অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূল উপকরণ। তাই আমাদের ৭টি প্রস্তাব পুনর্বিবেচনা করার জন্য দাবি জানাচ্ছি।

অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহাম্মদ হাসান বাবু বলেন, একটি কার্যকরি বন্ড বাজার অর্থনীতিকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করতে পারে। যদি সব ধরনের বন্ডের সুদ অব্যাহতির আওতায় আনা যায় তখন একটি শক্তিশালী বন্ড বাজার সৃষ্টিতে উৎসাহিত করবে। কোম্পানিগুলো কর-পরবর্তী মুনাফা থেকে লভ্যাংশ দিচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে ডিভিডেন্ডের উপর কর এক ধরনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্তরের করারোপণ। ডিভিডেন্ডের উপর উৎসকর চূড়ান্ত কর হিসেবে বিবেচিত হলে বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগে উৎসাহিত হবে। ডিএসইর ট্রেকহোল্ডার কোম্পানির প্রধান আয় (টার্নওভার) হচ্ছে কমিশন। যদি বেশি হারে কর নেওয়া হয় তবে ট্রেকহোল্ডারদের পক্ষে টিকে থাকা এবং শেয়ারবাজারে অবদান রাখা কঠিন হবে। তাই ট্রেকহোল্ডারদের লেনদেনের উপর উৎসে কর ০.০৫ থেকে কমিয়ে ০.০১৫ শতাংশ করা যেতে পারে।

তিনি বলেন, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির করপোরেট কর হারের পার্থক্য ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব করছি। এছাড়া এসএমই বোর্ডের অধীনে তালিকাভুক্ত এসএমই কোম্পানির করপোরেট কর হার ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির কর হারের পার্থক্য ন্যূনতম ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব করছি। এতে অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানি স্টক এক্সচেঞ্জের এসএমই প্ল্যাটফর্মে তালিকাভুক্ত হতে উৎসাহিত হবে। তালিকাভুক্ত কোম্পানির ভ্যাট হার হ্রাস করতে হবে। বর্তমানে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ও অ-তালিকাভুক্ত উভয় কোম্পানির ভ্যাট হার ১৫ শতাংশ। তালিকাভুক্ত কোম্পানির ভ্যাট হার হ্রাস করে ১০ শতাংশ করার সুপারিশ করছি।

ডিএসই চেয়ারম্যান বলেন, পাশ্ববর্তী দেশ ভারতসহ অন্যান্য উন্নত দেশের শেয়ারবাজারে বহুজাতিক কোম্পানিকে তাদের মোট শেয়ারের ন্যূনতম ১০ শতাংশ তালিকাভুক্ত করা বাধ্যতামূলক। অন্যথায় সেই সকল কোম্পানি সেই দেশে ব্যবসা করার অনুমতি পায় না। তাই আমাদের দেশেও শেয়ারবাজারের উন্নয়নকল্পে এইরূপ আইন প্রণয়ন করা এবং তার প্রয়োগ জরুরি।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ