শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলো স্টক ডিভিডেন্ড ঘোষণা দিতে হলে নিয়ন্ত্রক সংস্থা অনুমতি নিতে প্রথমে। বিএসইসির অনুমতি নিয়ে ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ সমাপ্ত অর্থবছর শেষে ২৪টি ব্যাংক স্টক ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে স্টক ডিভিডেন্ডের অনুমোদনের জন্য ব্যাংকগুলো আবেদন করলে সেই সুযোগে বিএসইসি ব্যাংকগুলোকে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে নির্দেশ দেয়। যে ব্যাংকগুলো বিনিয়োগ সীমার অনেক নিচে বা তুলনামূলক সক্ষমতার কম বিনিয়োগ রয়েছে তাদেরকে এই নির্দেশনা দেয়।
বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ি, ব্যাংক ও লিজিং কোম্পানিগুলো একক হিসাবে মূলধনের সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ ও সাবসিডিয়ারিসহ সমন্বিতভাবে ৫০ শতাংশ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। কিন্তু অনেক ব্যাংক এর ধারে কাছেও নেই। অথচ ওইসব প্রতিষ্ঠানগুলো শেয়ারবাজার থেকে নিয়মিত অর্থ উত্তোলন করে ব্যবসার পরিধি বাড়িয়ে থাকে।
জানা গেছে, শেয়ারবাজারের চলমান মন্দাবস্থা উত্তোরনে কমিশন স্টক ডিভিডেন্ড দেওয়া ব্যাংকগুলোকে বিনিয়োগে আনছে। বিশেষত যেসব ব্যাংক স্টক ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। যারা নতুন করে বিনিয়োগ করছে বা করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে, সেসব ব্যাংককে স্টক ডিভিডেন্ড প্রদানে অনুমতি দিচ্ছে বিএসইসি।
এরইমধ্যে স্টক ডিভিডেন্ড অনুমতি পাওয়া ব্যাংকগুলো শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ শুরু করেছে। যার ইতিবাচক প্রভাব মঙ্গলবার (১৬ মে) শেয়ারবাজারে পড়েছে।
এ বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহি পরিচালক ও মূখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, কমিশন নিয়মিতভাবে ব্যাংকের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের বিষয়টি তদারকি করে। কিন্তু অনেক ব্যাংকের বিনিয়োগ সক্ষমতার বা বিনিয়োগ সীমার তুলনায় কম। এরমধ্যে যেসব ব্যাংক বোনাস শেয়ার ঘোষণা দিয়েছে, সেগুলোকে বিনিয়োগ সীমা অনুযায়ি বিনিয়োগের আহবান করছি।