শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বহুজাতিক কোম্পানি বৃটিশ অ্যামেরিকান ট্যোবাকো কোম্পানি (বিএটিবিসি) দুটি সুখবর দিয়েছে। প্রথমটি হলো- চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির মুনাফায় ঊর্ধ্বগতি দেখা দিয়েছে। দ্বিতীয়টি হলো-উৎপাদন বাড়ানোর জন্য কোম্পানিটি নতুন করে ৬০ কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ করবে। কিন্তু বড় এই দুই খবরেও কোম্পানিটির শেয়ারে কোনো নড়ছড় দেখা যায়নি।
সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার (১১ মে) লেনদেন শুরুর আগে কোম্পানিটি চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ’২৩) আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ি, ডলারের উচ্চ দাম এবং উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির পরও প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস) করেছে ৮ টাকা ৪৪ পয়সা। যা আগের বছর প্রথম একই সময়ে ছিল ৭ টাকা ৭৩ পয়সা।
কোম্পানিটি আরও জানিয়েছে, উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কোম্পানিটি ৬০ কোটি ৭০ লাখ টাকা নতুন করে বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই বিনিয়োগ কোম্পানিটি নিজস্ব তহবিল হতে সংস্থান করবে।
কিন্তু মুনাফা বৃদ্ধি ও নতুন বিনিয়োগের বড় দুই সুখবরেও কোম্পানিটির শেয়ার ফ্লোর প্রাইস ভেদ করতে পারেনি। এমনকি বড় দুই খবরে কোম্পানিটির লেনদেনেও কোনো প্রভাব দেখা যায়নি। এদিন (বৃহস্পতিবার) কোম্পানিটির শেয়ার ফ্লোর প্রাইস ৫১৮ টাকা ৭০ পয়সায় মাত্র ২ হাজার ৮২৯টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত এক বছরের মধ্যে ২৩ আগস্ট কোম্পানিটির সর্বোচ্চ শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। ওইদিন শেয়ার লেনদেন হয়েছিল ৬ লাখ ৬৭ হাজারের বেশি। এছাড়া গত এক বছরের মধ্যে বহুদিন কোম্পানিটির শেয়ার ২ লাখ থেকে ৪ লাখ শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এমনকি গত এক বছরে ফ্লোর প্রাইসেও কোম্পানিটির লাখ লাখ শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কিন্তু বড় দুই খবর আসার পরও কোম্পানিটির শেয়ার দরে ও লেনদেনে বিন্দুমাত্র প্রভাব দেখা যায়নি।
বিএটিবিসি সর্বোচ্চ ডিভিডেন্ড দেয়ার কোম্পানিগুলোর মধ্যে অন্যতম। ২০২০ সালে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ৬০০ শতাংশ ক্যাশ ও ২০০ শতাংশ বোনাস ডিভিডেন্ড দিয়েছে। ২০২১ সালে ডিভিডেন্ড দিয়েছে ২৭৫ শতাংশ ক্যাশ এবং সর্বশেষ ২০২২ সালে ২০০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে।
বর্তমানে কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ৫৪০ কোটি টাকা। বিপরীতে রিজার্ভ রয়েছে ৩ হাজার ৫৭৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা। যা পরিশোধিত মূলধনের ৬.৬২ গুণ।
ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানিটির উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৭২.৯১ শতাংশ শেয়ার, সরকারের কাছে ০.৬৪ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১২.৮৬ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে ৬.২৫ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৭.৩৪ শতাংশ শেয়ার।